হোবার্ট হারিকেনসের সামনে সিডনি থান্ডারের ইনিংস ছিল দারুণ চ্যালেঞ্জিং। ৪ ওভারের মধ্যে ৪৬ রান করা অবস্থায় পেসার রাইলি মেরেডিথ ও বিলি স্ট্যানলেকের ওপর ঝড় বয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে বল হাতে এসে রিশাদ হোসেন প্রথম ওভারে ৬ রান দিয়েছেন।
পরের ওভারে মাত্র ৪ রান দিয়ে তিনি নিজের বোলিংয়ে চাপ তৈরি করেছেন। হোবার্টের বেলেরিভ স্টেডিয়ামে রিশাদের তৈরি করা চাপ কাজে লাগিয়ে দলের অন্য বোলাররা কার্যকর বোলিং করেন। হোবার্টের বোলিংয়ের ফলে সিডনি ১৮০ রানে আটকে যায়। রিশাদ ৩ ওভারে মোট ১৮ রান দেন এবং মাত্র একটি বাউন্ডারি হজম করেন, সেটি নিজের তৃতীয় ওভারে। ক্যামেরন ব্যানক্রফট রিভার্স সুইপ খেলে শর্ট থার্ড ও ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টের মধ্য দিয়ে চার মারেন।
রিশাদের বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং পেসের বৈচিত্র্য দিয়ে ব্যাটসম্যানদের আটকে রাখে। উইকেটে থাকা ক্যামেরন ব্যানক্রফট ও স্যাম কনস্টাসরাও সহজে রান করতে পারেননি। সপ্তম ওভারে ৪ রান দিয়ে রিশাদ পরের ওভারে কনস্টাসকে বোল্ড করেন। দশম ওভারে ক্রিস জর্ডান স্যাম বিলিংস ও ডেভিসকে ফেরান।
শেষ পর্যন্ত সিডনি ১৮০ রান করে, যেখানে ব্যানক্রফট ৬১, শাদাব খান ৩৪ এবং ড্যানিয়েল স্যামস অপরাজিত ২৩ রানে ছিলেন। হোবার্ট ১৮১ রানের টার্গেট শেষ ওভারে পৌঁছে। ইনিংসের প্রথম ১০ ওভারে ১ উইকেটে ৯৮ রান তোলার পর হোবার্ট শেষ দিকে দ্রুত উইকেট হারালেও ক্রিস জর্ডান ও নাথান এলিসের ব্যাটিংয়ে ৬ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত হয়।
আজ ম্যাচসেরা হয়েছেন ক্রিস জর্ডান। রিশাদ হোসেনের ব্যাটিংয়ে নামতে হয়নি, তবে তার বোলিংয়ের ইমপ্যাক্ট ধারাভাষ্যকক্ষে রিকি পন্টিংও বারবার উল্লেখ করেছেন। হোবার্ট শেষ চার মৌসুমের প্রথম ম্যাচে হারানোর ধারা এবার ভেঙেছে।
